সোমবার ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

‘ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পাশাপাশি সংস্কারের প্রয়োজন আছে’ জানালেন উপদেষ্টা আসিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | প্রিন্ট

‘ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়নের পাশাপাশি সংস্কারের প্রয়োজন আছে’ জানালেন উপদেষ্টা আসিফ

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মানুষের ব্যবহার কমিয়ে ডিজিটাইজেশন করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

 

ক্রীড়া  উপদেষ্টা বলেছেন, স্বৈরাচার সরকার পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি যেভাবে দাঁড় করিয়েছে সে কারণে ট্রাফিকসহ বিভিন্ন পুলিশের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকার পতনের সময় অনেকগুলো ট্রাফিক বক্সে আগুন লেগেছে। যে কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করার পাশাপাশি সংস্কারের প্রয়োজন আছে। আমরা সবকিছু সংস্কারের সঙ্গে এ ট্রাফিক ব্যবস্থারও সংস্কারের কথা বলছি। যাতে করে বাংলাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে উন্নত দেশের মতো সংস্কার করে আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা করা যায় সে ব্যবস্থা করবো। পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে মানুষের ব্যবহার কমিয়ে কীভাবে ডিজিটাইজেশন করা যায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আজ রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের এনএসসি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব পেয়েছি। ৫ আগস্টের পর তিনদিন আমরা শাসনহীন অবস্থায় ছিলাম। তখন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ পর্যন্ত করেছেন। দেশকে রক্ষার দায়িত্ব তরুণরা নিয়ে দেখিয়েছেন সরকার ছাড়াও চাইলে দেশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

 

ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার বড় কারণ হচ্ছে সচেতনতার অভাব এমনটি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের থাকার থেকে ট্রাফিক মেনে চলার যে সচেতনতা তা সব থেকে বড় বিষয়। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা খুবই কম। সেখানে মানুষ ট্রাফিক লাইট দেখে নিয়মকানুন মেনে চলে। কিন্তু আমাদের সচেতনতার অভাব থাকার কারণে যদি ট্রাফিক পুলিশ বেশিও রাখা হয় তাহলেও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই এ সচেতনতা আমাদের সমাজে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর শিক্ষার্থীরাই এ সচেতনতা বাড়ানোর সব থেকে বড় মাধ্যম হতে পারেন। এ কর্মশালার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের অনেক নিয়মকানুন জানতে পারবেন। পাশাপাশি পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনদেরও এ বিষয়ে সচেতন করতে পারবেন।

 

ক্রীড়া  উপদেষ্টা বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কিছু সরঞ্জামের কথা আপনারা (শিক্ষার্থীরা) বলেছেন। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে ট্রাফিক বিভাগ আছে তাদের অনুরোধ করবো তারা যেন সঠিক লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান করে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৯:১০ | রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com